বিদ্যালয় পরিচিতি
বিটিআরআই এ কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে অত্র বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে শ্রীমঙ্গল ও পার্শ্ববর্তী এলাকার শিক্ষা বিস্তারে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিভিন্ন পরীক্ষায় আকর্ষনীয় ফলাফল অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা, জেলা, বিভাগ এমনকি জাতীয় পর্যায়ে ২ বার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সেরা ১০টি বিদ্যালয়ের একটি বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়। এর প্রমাণ বিগত এসএসসি পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ১০ম স্থান অর্জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ২য় স্থান অর্জন। ২০১৬ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ভৌত অবকাঠামো ৫.৭৬ একর জমির উপর সীমানা প্রাচীর পরিবেষ্ঠিত অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত বিদ্যালয়টির মূল একাডেমিক ভবনটি ৩ তলা বিশিষ্ট এবং দক্ষিণমূখী। সামনে রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ, অপর পাশে সুপরিসর মিলনায়তন, জিমনেশিয়াম, দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানা ঘেঁষে শিক্ষকমন্ডলির আবাসনের জন্য দ্বিতল ও ত্রিতল ভবন । খেলার মাঠের পশ্চিম পাশে রয়েছে বিশাল পুকুর যাতে সাতার প্রশিক্ষণের ও সাতার প্রতিযোগিতার সুযোগ রয়েছে। এক কথায় এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম নান্দনিক সৌদর্যমন্ডিত বিদ্যালয়।
শিক্ষকমন্ডলী
মোট ১৬জন শিক্ষকের অধিকাংশ উচ্চশিক্ষিত, স্নাতক(সম্মান) সহ স্নাতোকোত্তর এবং ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রীধারী এবং বিএড ও এমএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাছাড়া শিক্ষকগণ বিভিন্ন বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনার, বোর্ড পরীক্ষক ও প্রধাণ পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক যেমন রয়েছেন তেমনি রয়েছেন শিক্ষক বাতায়নের সপ্তাহের দেশ সেরা কন্টেন্ট নির্মাতা, বিশ্ববিখ্যাত আইটি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট এর ইনোভ্যাটিভ এডুকেটর এক্সপার্ট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটুআই পরিচালিত ICT4E জেলা এম্বাসেডর। ২০০২ সালে মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধাণশিক্ষকের সম্মাননাপ্রাপ্ত এবং ২০১১ সালে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টি এগিয়ে যাচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য
# প্রাত্যহিক সমাবেশ।
# লেসন প্লান অনুযায়ী পাঠদান।
# নিয়মিত ডিজিটাল ক্লাস গ্রহণ।
# নিয়মিত টিউটোরিয়াল পরীক্ষা।
# ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক-পরিচালনা পর্ষদ সভা।
# ছাত্র-ছাত্রীদের বাসায় বাসায় পরিদর্শন ও তদারকি।
# সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনা।
# ২টি স্কুল মাইক্রোবাসযোগে ছাত্রছাত্রীদের পরিবহন সুবিধা।
# সুপরিসর লাইব্রেরী কক্ষ এবং বইপড়ার সুযোগ।
# বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের শাখা পরিচালনা।
# স্কাউটিং ও গার্লস গাইডিং।
# নিয়মিত ক্রিড়া প্রতিযোগীতা।
# সেমিনার ও বিজ্ঞানমেলা।
# বার্ষিক বনভোজন ও শিক্ষা সফর।
# উন্নত বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামসমৃদ্ধ পদার্থ, রসায়ন, জীব, কৃষি ও গার্হস্থ ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ের বিজ্ঞানাগার।
# পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্পিউটারসহ কম্পিউটার ল্যাব।
# মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ও ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ।
# দূর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী হোস্টেল সুবিধা ও বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা।
# নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচী।
# বৃত্তিপাপ্ত শিক্ষার্থীদের বিনাবেতনে অধ্যয়নের সুযোগ।
# বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশনা।
# বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতা।
# বিধি অনুযায়ী বিভিন্ন কমিটি ও উপকমিটির মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা।
# কর্মরত শিক্ষক ও শিক্ষিকা অনুপাত ৫ঃ৩।
# সহশিক্ষা।
# পর্যাপ্ত সংখ্যক দপ্তরি, মালি, ঝাড়–দার, আয়া।
# সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষামূলক চলচিত্র প্রদর্শন।
# বিশুদ্ধ পানিয় জলের জন্য গভির নলকুপ।
# ছেলেমেয়েদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক এবং পৃথক শৌচাগার।
# প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও মেধার সঠিক বিকাশ সাধন এবং নৈতিকতার আত্মবিশ্বাসী সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিজ্ঞানভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম, পপদ্ধতিগত শিক্ষা, নিয়মিত পরীক্ষা, ধারাবাহিক অনুশীলন, আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার পূর্বক পাঠদান করা হয়্ রাজনীতি ও ধূমপান মুক্ত, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা পরিবেশ।